মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস কি? ও এর সাহায্যে কি কাজ করা হয়? – What is Microsoft Access? What is done with it?
সবাইকে স্বাগতম muktokosh.com– বাংলাদেশের অন্যতম টেকব্লগ এ। আসা করি সবাই ভালো আছেন। আপনারা হয়তো টাইটেল দেখে বুঝে গিয়েছেন আমরা কি নিয়ে কথা বলতে চলেছি । তাহলে চলুন দেরি না করে চলে যাই আমাদের আলোচ্য বিষয়ে ।
আমরা কম বেশি সবাই মাইক্রোসফট অফিস-( Microsoft Office ) এর সাথে পরিচিত । আমরা কম্পিউটারে লেখা-লেখি করার কথা বললেই আমরা সবাই বুঝে যাই কোন সফটওয়্যার এর কথা বলা হচ্ছে- হা আপনারা ঠিক ধরেছেন আমরা মাইক্রোসফট ওয়ার্ড-( Microsoft Word ) এর কথাই বলছি।
আর মাইক্রোসফট অফিস এর এমন আরো একটা সফটওয়্যার হলো- মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস-(Microsoft Access) ।
মাইক্রোসফট অ্যাক্সসে দেখতে কেমন? আমেদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে। তাহলে চলুন দেখে নেই মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস এর logo-

মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস কি? What is Microsoft Access?
মাইক্রোসফট অ্যাক্সেস-(Microsoft Access) একটি ডাটাবেস-( Database) প্রোগ্রাম। আমাদের মনে প্রশ্ন আসতেই পারে- এই ডাটাবেসটা আবার কী? চিন্তার কোন কারন নেই আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে জাবেন।
আমরা যদি ডাটাবেস-( Database) সম্পর্কে জানতে চাই সবার প্রথমে আমাদের জানতে হবে ডাটা-(Data) কী ? আমরা কম-বেশি সবাই জানি ডাটা কি – সহজ ভাষায় বলা যায় কোন তথ্য-information ।
আপনার ক্ষেত্রে ডাটা-(Data) কি হতে পারে ? আপনার নাম,ইমেইল,ফোন-নাম্বার,ঠিকানা ইত্যাদি হতে পারে।আবার আপনার স্কুলে আপনার সকল পার্সোনাল তথ্যও ডাটা । এমন ভাবে আপনার চাকরির ক্ষেত্রে যে তথ্য জমা দেওয়া হয় সেটাও ডাটা। আপনার স্কুলে সকল ছাত্র-ছাত্রীর তথ্য ডিজিটাল ভাবে জমা রাখার সমস্যাটি সমাধান করে ডাটাবেস- Database ।
ডাটাবেস এর বৈশিষ্ট্য কি?- What are the features of the database?
- এর সাহায্যে কোনও নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান করা যায়।
- ডাটাবেস মূলত দ্রুতগতিতে ডাটা খুঁজতে সক্ষম।
- ডাটাবেসে খুবই নিরাপদে ডাটা সংরক্ষন করা যায়।
- ডাটাবেসের সাহায্যে শিক্ষার্থীরা তাদের রোল অনুসারে তাদের প্রাপ্ত নাম্বার দেখতে পারে।
এমন আরো অনেক কাজে ডাটাবেজ ভূমিকা রাখে।
তাহলে চলুন এবার আমরা জেনে নেই কি ভাবে একটা ডাটাবেস ফাইল তোইরি করতে পারি।
আমারা আমাদের Desktop একটা access file তৈরি করবো।
প্রথমে আমাদের মাউস এর রাইট ক্লিক করবো। তার পর মাউস পয়েন্ট নিউ ( New) এর উপরে নিয়ে গেলে অনেক গুলো অপশন পাবো। সেখানে (Microsoft Access Databas) অপশন এ ক্লিক করবো।
তার পর আমাদের একটা ফাইল তৈরি হয়ে যাবে । নিচে চিত্রের সাহায্যে দেখানো হলো।

আমাদের একটা নতুন অ্যাক্সেস ফাইল তৈরি হবে । আমারা চাইলে ফাইলটার নাম পরিবর্তন করে আমরা যে নামে ফাইল তোইরি করতে চাচ্ছি ঐ নামটা ব্যাবহার করতে পারি।

এবার আমরা যদি ফাইলটা ওপেন করি তা হলে আমাদের স্কিনে নিচে দেখানো পেইজ আসবে ।

এবার আমরা Create অপশন থেকে ,ছবিতে দেখনো টেবিল-ডিজাইন এ ক্লিক করবো। এর পর আমাদের স্কিনে নতুন একটা পেইজ আসবে ।

Field name এ আমার যে যে তথ্য গুলো রাখতে চাচ্ছি সে গুলো লিখবো। আমারা নামের ক্ষেত্রে short text ব্যবহার করবো। যে সকল ক্ষেত্রে আমাদের নাম্বার ব্যবহার করতে হবে আমরা সে ক্ষেত্রে number ব্যাবহার করবো।
এছাড়া আমাদের তারিখ লেখার ক্ষেত্রে Date/time ব্যবহার করবো বা আমাদের যদি উত্তর হ্যা/না তে দিতে হয় সে ক্ষত্রে আমরা yes/no ব্যাবহার করবো। বা আমাদের যদি আরো অপশনের প্রয়োজন হয় তো আমরা (lookup wizard) ব্যবহার করবো ।


আমাদের সকল তথ্য দেওয়া হলে (ctrl + s) দিয়ে আমরা সেভ করব। এবার আমাদের একটা পূর্ন ডাটাবেস অ্যাক্সেস ফাইল তৈরি হয়।

আমরা (lookup wizard) এর মাধ্যমে যে তথ্য লিখেছিলাম সেটা আমাদের সিলেক্ট অপশনের মতো দেখাবে।
এবার চাইলে এখানে আমরা পর পর তথ্য দিয়ে সাজাতে পারি আমাদের ডাটাবেস ফাইল।
আমাদের যখন স্কুলে বা কলেজে যে কোনও জায়গায় তথ্য জমা দিতে আমরা কি ভাবে দেই ? নিশ্চই আমরা একটা ফর্ম পূরন করি? আর আগামি পর্বে দেখবো কি ভাবে আমারা একটা ফর্ম তৈরি করতে পারি এবং কি ভাবে ফর্ম এর মাধ্যমে তথ্য গুলো বসিয়ে সাজাতে পারি ……
আগামিতে আমরা আরো কিছু সম্পর্কে পর্যায়ক্রমে জানবো – So stay tuned with techtrech😊