নারীদের বোরকা বাড়ছে কিন্তু পর্দা বাড়েনি, বোরকা’র নামে শুরু হয়েছে অশ্লীলতা ও বেহায়াপনা! বেড়েই চলেছে
অনেকেই পর্দা বলতে বুঝে শুধু শরীর ঢেকে রাখা। ঢেকে তো অনেক ভাবেই রাখা যায়। সেলোয়ার কামিজ পরেও সতর ঢাকা যায় তবে, সেটা পর্দা হয় না। অনেক সময় ঢেকে রেখেও জাহান্নামী হয়ে যাবে। আখিরাতে বসনহীনা নারী হিসেবে পরিচিত হবে।
পর্দা বললে প্রথমেই পোষাকের কথা আসে। কিন্তু আজকাল পর্দার পোষাক হিসেবে ব্যবহৃত বোরকা, ওড়না বা চাদর, খিমার ইত্যাদিও ফ্যাশানের অংশ হয়ে গেছে।
যেসব পোশাকে রয়েছে পুরুষদের আকৃষ্ট করারা জন্য – নিত্য নতুন ডিজাইনের কাজ করা, ঝিলমিলি কাপড়ের অংশ যুক্ত করা, ফুলের ডিজাইন করা, হালকা পাতলা জাতীয় কাপড় ভাজ ভাজ আকারে যুক্ত করা ইত্যাদি বাহারি পোষাক পরে পর্দার নামে সৌন্দর্য দেখানোর প্রতিযোগীতা চলে আমাদের বোনদের মধ্যে!
অথচ আল্লাহ বলেন,
”পূর্বের জাহেলী যুগের মতো সৌন্দর্য প্রদর্শন করোনা
– [সূরা আল-আহযাব, আয়াত – ৩৩]
অনেক বোনেরা এত পাতলা কাপড়ের বোরকা পরেন যে তাদের অঙ্গগুলো দেখা যায়। অনেক ক্ষেত্রে বোরকা টাইট-ফিট হবার কারণে তার শরীরের গঠন স্পষ্ট হয়ে পড়ে। এভাবে তো পর্দা হয়ই না; বরং ফিতনা ও আজাবের দুয়ার খুলে যায়। আবার অনেকে বোরকা পরেও মুখে মেক আপ করেন। নিকাব পরে কাজল ব্যবহার করেন চোখের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য।
অথচ রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ”দুনিয়ায় অনেক সাজগোজ করে পোষাক পরিহিতা নারী আখিরাতে উলঙ্গ বলে বিবেচিত হবে”।
– [সহীহ বুখারী ১/৩৭৯,৫/২২৯৬]
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, ”দুই শ্রেণীর জাহান্নামী আমি দেখিনি (অর্থাৎ এরা আমার পর আসবে)। তাদের মধ্যে এক শ্রেণী হলো ঐ সকল নারী যারা পোষাক পরেও উলঙ্গ। এরা পথচ্যুত এবং অন্যকেও পথচ্যুত করবে। তাদের মাথার উপরে উটের কুজ বা চুটির মতো থাকবে (অর্থাৎ তারা চুল বা ওড়না ইত্যাদি উঁচু করে মাথায় রাখবে)। এরা জান্নাতে যাবে না, জান্নাতের সুগন্ধও পাবে না। যদিও তা বহুদূর হতে পাওয়া যায়। তোমরা তাদেরকে অভিশাপ দেবে, কারণ তারা অভিশপ্ত।”
– [মুসলিম আস সহীহ ৩/১৬৮০, ৪/২১৯২, হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৫/১৩৬-১৩৭, আলবানী, জিলবাব পৃঃ ১২৫]
অতএব নিজের পর্দার পোষাকের দিকে তাকানো উচিত। ভাবা উচিৎ, পর্দা করেও জাহান্নামী নারী নইতো? কবরে কি আদৌ জান্নাতের সুঘ্রাণ পৌছাবে?
হে আমার বোন! আপনি একজন নারী। আপনারা অনেক মূল্যবান বলেই পর্দার মাধ্যমে নিজেদের হেফাজত করুন
‘নারী‘
চির উন্নত তুমি নারী
চির মহৎ, চির সতী।
চির চেনামুখ মা তুমি,
অবলাকালের জ্যোতি।
তুমি হে নারী! প্রিয় বোনের
আদুরে শাসন মাখা ।
বেদনাবিধুর ক্রন্দনমুখে
কাঁখে তোলে রাখা ।
প্রিয়তমা তুমিই প্রিয়সাথী
জীবনের মাঝপথে ।
তব ছোঁয়ায় ফিরে আসে প্রাণ,
উন্মাদনায়, শ্লথে ।
তুমিই পৃথিবী,তুমিই জগত
হিরকপ্রসবিনী !
তোমার শান দিয়েছেন স্বয়ং
সব গড়েছেন যিনি।
তুমি ভেবনা তুচ্ছ তোমায়
তুমি জেন মহান ।
পৃথিবীকে যারা দিয়েছে আলো,
সব তোমারই দান।
শুন! মহীরূহ নও তুমি,
মহীরূহ উদ্গাতা ।
ইতিহাসের প্রতিটি পাতায়,
দেখ তব নাম গাঁথা ।
তুমি নারী, নর নও
তুমিই তোমার তুলনা।
সম নও তুমি, হে নারী!
এতো প্রবঞ্চনা, ছলনা ।
নারী শোভায় সংসার জগত,
নয় মাঠ-প্রান্তর ।
খাঁটুনি করবে তব আহারে
জগতের সব নর ।
চির সুন্দর তুমি অমলিন
তব পথ চিরমসৃন ।
শুনেছ কি শয়তান ভাল
চেয়েছে কারো কোনদিন ?