“আমার শরীর পুড়ে গেছে।আমি হয়তো আর ফিরবো না। আমার কলিজার টুকরা মেয়েটির মুখ দেখা হলো না মামা। তুমি একটু দেখে রাখিও”
(ফায়ার সার্ভিসের মনিরুজ্জামান)
“বাবা আমার পা’ একটা চলে গিয়েছে।আমি হয়তো আর বাঁচবো না। আমাকে মাফ করে দিও বাবা”
(পিতার কাছে ছেলের ফোন)
“জানেন ভাইজান, আমাদের বিয়ে হয়েছে ৭ মাস, আমার স্বামীকে আমি খুঁজে পাচ্ছি না … গতকাল রাতে যখন খবর পেলাম ডিপোতে আগুন লেগেছে, এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে প্রতিটা বেডে আমার স্বামীকে খুঁজে বেড়াচ্ছি কোথাও দেখা মেলেনি তার, আমার পেটে তার দু’মাসের বাচ্চা, অনেকেই খুঁজে আমার স্বামীকে কোথাও খুঁজে পেলাম না”
(গর্ভধারিনী এক মা)
যে ছেলেটা সিতাকুন্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের লাইভ করছিল লাইভের ৪০ মিনিট পর হঠাৎ এক বিকট শব্দ হয়ে সেও চলে গিয়েছে পরপারের ডাকে।
একজনকে দেখলাম নিজের পেটের বের হয়ে যাওয়া নাড়িভুঁড়ি নিয়ে বাঁচার আপ্রান চেষ্টা চালাচ্ছে।
হাসপাতালে মানুষের কি যে অসহনীয় চিৎকার সহ্য করা কঠিন।
আমাদের এই অসম্ভব ভালোবাসার জীবন কখন যে কিভাবে চলে যায় দয়াময় জানেন।
আল্লাহ তুমি সীতাকুণ্ডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের শিকার হওয়া মানুষগুলোর উপর রহম কর।যারা চলে গিয়েছে তাদের শহীদি মর্যাদা দান কর।
#sitakundatragedy
#sitakundafire
#SitakundaExplosions
#sitakunda
#SitakundNews
#sitakunda_blood_bank