আজকে আমি আপনাদের একটি ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প যা আপনার একা পড়া উচিত নয়। আমি যে গল্পটা শেয়ার করছি সেটি চাঁদপুর জেলার একজনের বাক্তিগত ঘটনা।
এখন গ্রাম গুলিতে শহরের ছোঁয়া লেগে গেছে । গ্রামেও এখন জিন বা ভূতকে বিশ্বাস করে না। ভূত জিন বলতে নাকি কিছুই নেই , কিন্তু ব্যাপারটা হচ্ছে যার সাথে ঘটে যায় তিনি বুঝতে পারেন সব কথা বলো না পড়ে কিংবা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। আমি সরাসরি ঘটনায় চলে যাচ্ছি , আমি আজ অনেক দিন ধরেই টিউশানি করি। দিনের বেশিরভাগ সময় ব্যস্ত তার ভূমি কাকে বলে দিনের বেলাও খুব একটা বাসা থেকে বের হওয়া হয়না।
আমার বাড়িতে একটা দিঘি আছে। বছরখানেক আগের কথা এক রাত এগারোটার সময় আমার একটা ফোন আসে। বাসায় কথা বলতে গেলে সমস্যা হয় বলে বাসা থেকে বের হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম। অন্ধকার ছিল বলে একটা ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জ্বালিয়ে অন্য ফোনটা দিয়ে কথা বলতে বলতে দিঘীরপাড় রাস্তা ধরে অন্য একটা বাড়ি পার করে মাছের কাটা যায় ।
বলে রাখা ভালো রাস্তার পাশেই মাঠ আর গরমের দিনেও এখানে প্রচুর ঠান্ডা হাওয়া থাকে। কিছুক্ষণ বসলেই শরীর জুরিয়ে যায়। জায়গাটি ছিল তিন রাস্তার মোড়, তিন রাস্তা বা চার রাস্তা মোর দিয়ে অনেক কথা প্রচলিত আছে। আমি ছোট বেলা থেকে প্রচন্ড সাহসী। তাই কোন কিছু মনে না নিয়ে রাস্তার পাশে বসে ফোনে কথা বলছিলাম ।
কিছুক্ষণ কথা বলার পর লক্ষ্য করলাম মাঠের অপরপ্রান্তের সাদা পোশাক পড়ে আমার দিকে কেও একজন আমার দিকে আসছে। অন্ধকার রাত ছিল মাঠ অনেক দূর ছিল বলে ভাবলাম কোন মানুষ হইত মাঠের মাঝখান দিয়ে হেঁটে আসছে । কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর যাকে দেখলাম তা দেখে নিজেকে স্থির রাখা কষ্টকর ছিল। আমার গায়ে একটু গরম হাওয়া লাগলো। এ সময় গরম হাওয়া খানিকটা অবাক হলাম, নিজের অজান্তেই কান থেকে ফোন নামিয়ে সাইট বাটনে ক্লিক করলাম। কিন্তু ফোন দিতে ভালো চলছে না ভাবলাম হয়তো চার্জ শেষ। যে ফোনটি জালানো ছিল ওই ফোনটি দিকে তাকিয়ে দেখি ফ্ল্যাশ লাইট বন্ধ ।
এতক্ষণে বুঝলাম আমার সাথে কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে । সামনের দিকে তাকাতে আমি লক্ষ্য করলাম ওই সাদা পোশাক পরিহিত মানুষটি ক্রমেই বড় হতে লাগল। এবং তার মাথা মনে হচ্ছিল কমিয়ে আকাশ চুম্বী হচ্ছে। বুঝলাম এটি মানুষ নয় এটি জিন। আমার শরীর শিউরে উঠল মনে হচ্ছিল সময়ের কিছু সময়ের জন্য আমি কথা বলা সমস্ত শক্তি হারিয়ে ফেলেছি । আমি হতভম্ব হয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে রইলাম। কি করবো নিজেও ভেবে পারছিলাম না জীবনের প্রথম প্রচন্ড ভয় পেলাম।
আমি শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে দৌড় দিলাম কেন জানি মনে হচ্ছিল আমি পাঁচ মিনিট এরপর ৩০ সেকেন্ডে পার করলাম। যখন তোর থামালাম নিজেকে দিঘির কাছে পেলাম । আমি কি দৌড়ে আসলাম নাকি উরে আসলাম সেটা নিয়ে আজও আমি সতিহাট। যদি দৌড়ে আসি তাহলে এত কম সময়ে কিভাবে সম্ভব । দিঘির কাছে আসার পর দেখলাম আমার ফোনের অটোম্যাটিক আলো জলে উঠেছে । আমি অনেক অবাক হই এর আগে দাদুর কাছে অনেক কথা শুনেছি কিন্তু ঐদিন প্রথম বাস্তবতার মুখোমুখি হলাম। ঘটিকায় শেষ হতে পারত আমার জন্য এর চেয়ে বড় ট্র্যাজেডি অপেক্ষা করছে আমি প্রায় ২০ মিনিট দিঘির ঘাটলায় বসে ভাবতে লাগলাম কি ঘটে গেলো আমার সাথে ।
ভাবতেই আমার ফোনটা বেজে ওঠে অপরপ্রান্তে যিনি ছিলেন তিনি হঠাৎ করে ফোন কাটার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। আমি জবাবে একটু সমস্যা ছিল বলে তাকে বিদায় জানিয়ে বাসায় চলে আসি এবং ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছ । আর কিছুক্ষণ পর আমার চোখে পানি চলে আসে কিন্তু আশেপাশে অন্য ভাষার কাকার কথা আমার কানে বাজছিল । আমি অনুভব করলাম আমার জানলার বাইরে ওই সাদা জামা পরিচিত-অপরিচিত লোকটি দারিয়ে আছে।
আমি তার অবস্থান বুঝতে পারছি কিন্তু ওর মুখের অংস কোন উপরে থাকার কারণে দেখতে পাচ্ছিলাম না । কয়েক সেকেন্ড পর আমি অনুভব করলাম আমার পা শউরে উঠছে । বসে আস্তে আস্তে পুরো শরীর মনে হচ্ছে কেউ আমাকে আস্তে আস্তে হাত উপরের দিকে তুলছে । যত উপরের দিকে তুলছে ততই আমার শরীর জমে যেতে লাগল। আমি পুরোটা শরীর অবশ হয়ে গেল । বুক পর্যন্ত অবশ্যই আছে তোমার শরীরের সবগুলি লোম দাঁড়িয়ে যায়। আমি চিৎকার করার অনেক চেষ্টা করি কিন্তু কিছুতেই মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিলোনা । আমি ভয়ে আমি হাত পা ছড়াছড়ি করি চেষ্টা করছিলাম কিন্তু পাচ্ছিলাম না। আমি সময়ের জন্য মনে হচ্ছিল আমার শরীর উপরে কেউ যেন পাথর বসিয়ে রেখেছে আমি চাইলেও সরাতে পারছিনা ঠিক প্যারালাইজড।
আমি স্পষ্টভাবে বলতে পারবোনা আমার জ্ঞান ছিল, আমার স্মৃতি ছিল আমার মনে ছিল এমন সময় আয়াতুল কুরসি পড়া শুরু করলাম। হাত-পা অনেকটা ছড়াছড়ি করার অনেক চেষ্টা করছিলাম আর মনে মনে আয়তন কুরসি পরছিলাম । আয়তন কুরসি শেষ আয়াতে আসলাম তখন শরীরে প্রচন্ড শক্তি দিয়ে আমি লাথি মারলাম। এতক্ষণে আমার বুকের বিঝা সরে গেছে । আমি ঘেমে একাকার হয়ে যাই, ঠিক গোসল করে আসলে যেমন হয়।
আমি একটা শব্দ শুনলাম ঠিক বিড়াল দেয়ালে বারি খেলে যেমন শব্দ হয় তেমন শব্দ পেলাম। আমি আম্মুকে ডেকে তুললাম তারপর সব ঘটনা খুলে বললাম আমি আর আম্মু মিলে রুমের লাইট জ্বালিয়ে বিড়াল খোঁজার চেষ্টা করি । উল্লেখ্য বিড়াল খুঁজতে গিয়ে হঠাৎ জানলার দিকে চোখ পরে কিন্তু দেখলাম জানালা বন্ধ জানালা বন্ধ দরজা বন্ধ থাকবে বিড়াল কোথায় গেল । বিড়ালের শব্দ আম্মু শুনেছিল, কিছুক্ষণ খোঁজার পর না পেয়ে আবার রুমে চলে আসি । আম্মু আমাকে দোয়া পড়ে শরীরে ফু দিয়ে দিলেন আমি খুব বেশি। আমি বেশি অবাক হইনি করণ আমি তুলা রাশির জাতক এমন অনেক ঘটনা আমার সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে।